মার্চ এর ১০ তারিখ
দিন টি ছিলো রবিবার
সেনানী সফরে গিয়েছি মোরা
বান্দরবানের ঐ দূর পাহাড়।
সকাল হতে যাত্রা শুরু,
মধ্যখানে বিরতি নাস্তার
সকলে ছিলাম খুশি,
যখন হলাম ফেরিপারাপার।
চলছে গাড়ি পাহাড়ি উঁচু নিচু
আঁকাবাকা পথ বেয়ে,
কেউ পড়ছে নাত কছিদা
কেউ শুনছে মুগ্ধ হয়ে।
দুপুরের কাছাকাছি থামলো গাড়ি
"মেঘলা" গিয়ে,
কমলা রঙের টি শার্টে অপূর্ব
মেঘলা 'র প্রকৃতি গেল ছেয়ে।
বনভোজন হলো মেঘলায়
সু-স্বাদু খাবার ছিলো তালিকায়,
খাবার শেষে পড়লাম নামাজ,
তারপর ঘুরাঘুরি প্রকৃতির মোহনায়।
কেউ দুলে ঝুলন্ত ব্রিজে
কেইবা চালায় নৌকা,
মিলেমিশে ছিলাম মোরা
নয়তো কেউ একা।
বিকেলে সবাই একসাথে
গেলাম নীলাচলে,
চাঁদের গাড়ির চরম গতিতে
সবাই হেলেদুলে।
নীলাচলের নিচ পাহাড়ে
অভিষেক নিলাম সেরে,
শপথ করেছি মোরা একসাথে
কাজ করব সুন্নিয়তের তরে।
অভিষেক শেষে শুরু হলো কুইজ
সেনানী ভাইদের নিয়ে,
সবাই ব্যস্ত উত্তর লিখতে নিভুলভাবে
কেউ লিখছে মাথা খাটিয়ে।
অতপর বেড়ানো প্রকৃতির মাঝে
কেউবা ছবি তুলছে বন্ধুদের নিয়ে,
এভাবে কেটে গেলো মধুর সেই ক্ষন
সন্ধায় আসতে হলো ছাড়িয়ে।
গাড়ি উঠলাম আবার সকলে
ফিরে যেতে হবে নীরে,
ক্লান্ত দেহ নিয়ে বসে বাসের আপন সিটে
এসেছি ধীরে ধীরে।
বেলা শেষে বলবো আমরাই সফল!!
সাক্ষী আছে বান্দরবানের মেঘলা আর নীলাচল।
......................................................
হাফেজ মুহাম্মদ হাসান ইমাম
রাউজান, চট্টগ্রাম।
তারিখ ১১/০৩/২০১৯
No comments:
Post a Comment