Sunday, March 17, 2019

হারিয়ে গেছি

কোথায় তুমি??

হারিয়ে গেছি।
হারিয়ে গেছি শেষ বিকেলের সূর্য ডোবা অন্ধকারে
হারিয়ে গেছি এই আকাশের মেঘের ভিড়ে
অর্থ ছাড়া অর্থহীনের এই শহরে
হারিয়ে গেছি ট্রাফিক জ্যামের লাল বাতিতে
শুন্য গতির চাকায় চেপে ঘামতে থাকা দুর্গতিতে
হারিয়ে গেছি ছুটতে থাকা সব মানুষের প্রবল ভীড়ে।

হারালে কখন ?

এই কিছুক্ষণ আগেই বোধহয়
না হয় তারও একটু আগে
কি আসে যায় যদি হারাই আরো আগে
কেমন হবে বলতো দেখি হারাই যদি ভবিষ্যতে।

অনেক হলো এবার বলো
এখন তুমি কোন জগতে?

এখন আমি তোমার চোখের হাসি মাখা মুগ্ধতাতে
নয়তো তোমার ঠোঁট বাঁকানো বিরক্তিতে
এখন আমি তোমার ফোনের অন্য পাশে
তোমার সাথেই এই পৃথিবীর এক বাতাসে

অনেক হলো এখন বলো ফিরবে কখন?

ফিরতে হবে? 

স্রোতে ভেসে যাই!

মন উড়ে যায় তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
অদূর সীমান্তে,
যেখানে নেই কোনো কোলাহল
আছে শুধু গভীর নিরবতা।

একলা আমি নিরব পাঠকের মতো
পড়ছি তোমার কবিতা,
মনস্পটে ভেসে উঠে তোমার সাথে কাটানো
প্রতিটি সময়ের কথা।

যদিও তুমি আজ দূরে তবুও রয়েছো
এই বুক জুড়ে একান্ত অনুভবে,
তোমার স্মৃতি করছি স্মরণ, থাকো তুমি
এই হৃদয়ে যতদিন দেহে প্রাণ রবে।

সময় বয়ে যায় বহমান নদীর স্রোতের মতো
তাকে বেধে রাখা যায় না,
শুধু মনে রেখো,আমি যে ছিলাম আপন
এমন আর কাউকে পাবে না।

একলা এভাবে কেটে যাচ্ছে দিন
তোমার শূন্যতায়,
ভালো থেকো তুমি তোমার পৃথিবী নিয়ে
আমি না হয় -স্রোতে ভেসে যাই!!

Monday, March 11, 2019

সাদা কালো জীবন

অনেক আশা ছিলো!
ভালবাসা ছিলো অনেক!
চেয়েছিলাম একান্তে পেতে
চাইনি তোমায় হারাতে!

মনে অনেক রঙ ছিলো
ছিলো অনেক আলো
অবশেষে বুঝলাম
জীবন টা সাদা কালো!!

এখনো জ্যোস্না দেখি
আকাশের তারা গুনি
আগের মতো লাগেনা ভালো
দুঃখের রঙ যে কালো।

কি দোষ ছিলো? একবার বলো!
আমি তো চাইনি এমন!
শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা
মনের ঘরটি হয়েছে অগোছালো।

আজও কাদে মন নিরবে
অশ্রুতে ভিজে বালিশ
ভালবাসার অপরাধে -
করতে পারিনা কোনো নালিশ।

বদ্ধ ঘরের কোণাটা এখন
বেশ লাগে ভালো,
বেলা শেষে বুঝলাম
জীবন টা সাদা কালো।

আমি চাই রাঙাতে --
ভালবাসায় ভরাতে চারপাশ
এসে জ্বেলে দাও আলো
জীবনের রঙ হবেনা আর সাদা কালো।

সেনানী সফর ২০১৯

মার্চ এর ১০ তারিখ
দিন টি ছিলো রবিবার
সেনানী সফরে গিয়েছি মোরা
বান্দরবানের ঐ দূর পাহাড়।

সকাল হতে যাত্রা শুরু,
মধ্যখানে বিরতি নাস্তার
সকলে ছিলাম খুশি,
যখন হলাম ফেরিপারাপার।

চলছে গাড়ি পাহাড়ি উঁচু নিচু
আঁকাবাকা পথ বেয়ে,
কেউ পড়ছে নাত কছিদা
কেউ শুনছে মুগ্ধ হয়ে।

দুপুরের কাছাকাছি থামলো গাড়ি
"মেঘলা" গিয়ে,
কমলা রঙের টি শার্টে  অপূর্ব
মেঘলা 'র প্রকৃতি গেল ছেয়ে।

বনভোজন হলো মেঘলায়
সু-স্বাদু খাবার ছিলো তালিকায়,
খাবার শেষে পড়লাম নামাজ,
তারপর ঘুরাঘুরি প্রকৃতির মোহনায়।

কেউ দুলে ঝুলন্ত ব্রিজে
কেইবা চালায় নৌকা,
মিলেমিশে ছিলাম মোরা
নয়তো কেউ একা।

বিকেলে সবাই একসাথে
গেলাম নীলাচলে,
চাঁদের গাড়ির চরম গতিতে
সবাই হেলেদুলে।

নীলাচলের নিচ পাহাড়ে
অভিষেক নিলাম সেরে,
শপথ করেছি মোরা একসাথে
কাজ করব সুন্নিয়তের তরে।

অভিষেক শেষে শুরু হলো কুইজ
সেনানী ভাইদের নিয়ে,
সবাই ব্যস্ত উত্তর লিখতে নিভুলভাবে
কেউ লিখছে মাথা খাটিয়ে।

অতপর বেড়ানো প্রকৃতির মাঝে
কেউবা ছবি তুলছে বন্ধুদের নিয়ে,
এভাবে কেটে গেলো মধুর সেই ক্ষন
সন্ধায় আসতে হলো  ছাড়িয়ে।

গাড়ি উঠলাম আবার সকলে
ফিরে যেতে হবে নীরে,
ক্লান্ত দেহ নিয়ে বসে বাসের আপন সিটে
এসেছি ধীরে ধীরে।

বেলা শেষে বলবো আমরাই সফল!!
সাক্ষী আছে বান্দরবানের মেঘলা আর নীলাচল।

......................................................
হাফেজ মুহাম্মদ হাসান ইমাম
রাউজান, চট্টগ্রাম।
তারিখ ১১/০৩/২০১৯

Wednesday, March 6, 2019

মিশে যাব শূণ্যে

অন্ধকার ঘর,! চারপাশে তিমির কালো
এক কোণায় পড়ে আছে অতৃপ্ত আত্মা,
মনে হয় গৃহবন্দী সেই, বেড়ুতে পারেনা কিছুতেই
যেন হাত পা তার বাধা!!

নিরব গোঙানি শুনেনা কেউ, কিংবা বুঝতে পারেনা
কোনো ভাবেই,অবাধে ঝড়ছে অশ্রু জল,।
অবিরাম বর্ষায় যেমন মাঠ-ঘাঠ ভরে যায় অ তৈ পানিতে, যেভাবেই ডুবে গেছে মনের অন্দরমহল।!

থাক থাক এভাবে, আছি আর বলো কতকাল!?
একদিন ছুটি হবে, মিশে যাবো শূণ্যে,
আর দেখা হবে না, কিংবা বলা হবেনা কোন কথা
শুধু উদাস চোখে আকাশের ঐ তারা গুনবে।

ফিরে ফিরে আসবো আমি বারেবার,
তোমার দু'নয়নে অশ্রু ধারা হয়ে,
ঝড়তে দিওনা সেই আঁখি জল, স্বযত্নে রেখো তুলে
তোমার হৃদ মাঝারে, কখনো যাবো না ক্ষয়ে।


প্রিয়তমা

প্রিয়তমা! তোমারই মিষ্টি চাহনি
পাগল করে আমায়,
তোমার সুভ্র হাসির ঝিলিকে
আমি আমাতে হারায়।

বারে বার ইচ্ছে জাগে শুনতে
তোমারই মিষ্টি দুষ্টু কথা,
দিও না ওগো দিওনা এই সরল মনে
দুঃখ কষ্ট ব্যথা।

ভাল্লাগে তোমারই  ঐ কড়া শাসন
যখন চলি বেখেয়ালি,
ইচ্ছে জাগে সারাক্ষণ ভালবাসি ভালবাসি
শুধু একথায় বলি।

তুমি থাকলে স্বর্গ সুখ আসে মনে
চারিদিকে বহে বাতাস মধুময়,
তোমারই শূন্যতায় জ্যোস্ন রাতকে ও
তিমির কালো মনে হয়!

তুমি আসো শাড়ির আচল ছড়িয়ে
ছোয়া লাগুক আমার ভাবনায়
হারাতে চাইনা তোমায়,ওগো তুমি থাকো
আমার সকল ব্যস্ততায়।

শোন

শোন! শোন! অবুঝ বালক!
হৃদয়ে কী পড়ছে চোট!?
নাকি গভীর ক্ষতের তীব্র ব্যথায় কাতর
নড়ছে না তোমার ঠোঁট!!?

জানি তুমি অপরাধী শুধু ই অপরাধী
বুঝবেনা কেউ তোমায়,
এই ধরায় ভালবাসার নেই কোন দাম
বিনা কারণে সবাই অশ্রু ঝড়ায়।

যাকে তোমার হৃদয় এতো আপন ভাবে
তাকে কখনো কি কাছে পাবে?
ভালোবাসার এই কবিতা শুনে বলো
সে কি সাড়া দিবে??

আমার কবিতা সর্বক্ষন এই চিরসত্য
অমূল্য এই কথাই বলে,
শুধু ভেবে ভেবে কি লাভ বলো
আবেগ দিয়ে কি জীবন চলে??

একাকী এসেছ তুমি মাতৃগর্ব থেকে
একাই ফিরবে মাটির নিচে,
বৃথা সময় কেন করো অপচয় বুঝবে না কভু
কোনো পড়ে আছ মিথ্যে মায়ার পিছে!!?

দেখো দেখো দিচ্ছে ডাক ঐ দিগন্তের সীমানা থেকে আলোর মশাল হাতে,
চলো চলো এগিয়ে যায় সম্মুখপানে মাথা উঁচিয়ে
সত্য ও ন্যায়ের পথে।

ধোঁয়া

ধুলিমাখা টিশার্ট অগোছালো চুল
হাতে আছে নিকোটিন,
একরাশ কষ্ট, অজানা কিছু ব্যাথা
বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।

কেউ বুঝেনা, কাউকে দেখাতে পারিনা
হৃদয়ের ক্ষত কতো,
রঙিন কাপড়ে মোড়ানো কত জিন্দা লাশ
আছে যে শত শত।

দেহের মরণের আগে মৃতপ্রায় হয়ে আছে
এই অবুঝ সরল মন,
অপেক্ষার প্রহর গুনছি, কভু কি আসবেনা
মোর প্রিয় সেই জন।!?

চলে যায় সময়,বয়ে যায় দিন,বয়ে যায় শুভক্ষণ
তবুও সে ফিরে আসেনা,
এই অবুজ মনের ব্যথার তিব্রতা যে কতো!!
সে কি বুঝতে পারেনা"!?

সে না বুঝলেও বুঝে আমার হাতে থাকা
জ্বলন্ত নিকোটিনের ধোঁয়া,
ধোঁয়ার গভীরে হারিয়ে যায় সকল কষ্ট
কিংবা ভালবাসার ছোয়া।

কুয়াশা

বিষন্ন মনে হাটছি একাকী এই সময়ে
চারপাশে দেখছি শুধু ধুসর কুয়াশা,
স্বার্থের এই পৃথিবীতে কিছুই ভাল্লাগে না
সারাক্ষণ ঘিরে রাখে হতাশা।

ব্যস্ততা আর বাস্তবতা শেষ করে দিচ্ছে
সকল রঙিন আশা,
সবকিছু ছেড়ে তারপরও ফিরে পেতে চাই
হারানো ভালবাসা।

কাঁদছে অঝোরে কাঁদছে আজ আকাশ
অশ্রু হয়ে ঝড়ছে বৃষ্টির ফোটা,
বসন্তের ফুলগুলো যেন আজ টুটে গেছে
লাগেনি সেথায় ভালবাসার ছোয়া।

বেচে আছি নীর হারা কোনো পাখির মতো
ছুটছি অবিরাম শান্তির খোজে,
জানিনা ফিরে পাবো কিনা সেই রঙিন মুহুর্ত গুলো
না কি ব্যর্থ হবো বেলা শেষে।?

কুয়াশার ডাল ভেঙে আলো আসুক আবার সেই
ফর্সা রোদের মতো,
এই প্রার্থনা বিধি তোমার কাছে দিবা রাতিতে
করে যায় অবিরত।


ভালো থাকো রোজ

প্রেয়সী! গতরাতে তোমার স্মৃতি মিশে থাকা ছবিগুলো ডিলিট করে দিয়েছি ইচ্ছে করেই, মোবাইলের মেমোরি থেকে এক ক্লিকেই মুছে ফেলা যায় কত সহজে, অথচ, ...